নিজস্ব প্রতিবেদক:
দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে; কিন্তু ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখার তাগিদ যেন কম। দলের নীতিনির্ধারক থেকে তৃণমূল পর্যন্ত নেতাকর্মীরা নানা গ্রুপ ও উপগ্রুপে বিভক্ত হয়ে আছেন।
নারায়ণগঞ্জে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগামী সংসদ নির্বাচন এবং বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কমিটি গঠন কেন্দ্র করে নেতায় নেতায় দ্বন্দ্ব-কোন্দল প্রকাশ হয়েছে। এর বাইরে দলে প্রভাব বিস্তার কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে রয়েছে গ্রুপিং। এর নেপথ্যেও রয়েছে কমিটিতে যার যার পছন্দের নেতাকে পদ দেওয়ার বিষয়টি। আবার কমিটি গঠন করা হলেও বিএনপির সাবেক এমপিদের মতামত না নেওয়ার অভিযোগ । তাতে জেলা বিএনপির উপর সাবেক এমপিরা ক্ষুব্ধ । সুত্রের খবর ফতুল্লায় বিএনপির ওয়ার্ড কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দলটির নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব থামছে না। দলটির একাধিক নেতা এই প্রতিবেদককে জানান, ফতুল্লা থানা বিএনপির আহবায়ক কমিটির প্রায় সব সদস্য শহিদুল ইসলাম টিটুর বিপক্ষে। সে শামীম ওসমানের লোক হিসেবে পরিচিত। ওয়ার্ড কমিটি গঠনে টিটু বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। টিটুর সাথে আতাঁত নৌকার ইউপি চেয়ারম্যান সেন্টু।
আড়াইহাজারে বিএনপির তিনবারের সাবেক এমপি আতাউর রহমান আঙ্গুরের সাথে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদের দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব। জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক মামুন মাহমুদও তাকে মূল্যায়ন না করার অভিযোগ। সম্প্রতি হাইজাদি ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন হয়েছে। সেই সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন অধ্যাপক মামুন মাহমুদ। সেখানে আঙ্গুরের বাড়ি। সম্মেলন অনুষ্ঠানে আঙ্গুরকে দেখা যায়নি। তা নিয়ে তৃণমূল বিএনপি নেতাদের নানা কথা।
রূপগঞ্জ থানা বিএনপির আহবায়ক এড. মাহফুজুর রহমান হুমায়ুন ও সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক শরীফ আহমেদ টুটুল চরম দ্বন্দ্বের খবর পাওয়া গেছে। সিদ্ধিরগঞ্জ , সোনারগাঁ, বন্দরেও দ্বন্দ্ব থামছে না। নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির কমিটি নিয়েও নেতায় নেতায় অনৈক্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দলটির একাধিক নেতা জানান মহানগরে বিএনপির জুটি মিলছে না। জেলা বিএনপিতে এড.তৈমূর আলম খন্দকার ফিরতে লবিং করছে। তার প্রতিপক্ষও সক্রিয়। রমজানে আলাদা ইফতার পার্টি করারও আভাস পাওয়া যাচ্ছে দলটির নেতাদের মধ্যে।